1. admin@dailyjamunasongbad.com : admin :
দুখানা চিঠি। দুখানা চিঠি ভুতের গল্প | ভুতের গল্প | Dukhana Cithi Vuter Golpo | - দৈনিক যমুনা সংবাদ
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শাহজাদপুরে ৪ নারী পেলেন বেগম রোকেয়া জয়ীতা সম্মাননা পদক ২০২৪ শাহজাদপুরে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরের নন্দলালপুর রাখ জলা মহল ইজারার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শাহজাদপুরে পোরজনায় সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন শাহজাদপুরে ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ায় শিক্ষককে শোকজ শাহজাদপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে পোরজনায় সাম্য,মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে রংধনু মডেল স্কুলের পক্ষ থেকে প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হাসান,সাধারণ সম্পাদক ইন্না খাজা এনায়েতপুরী (রহঃ) এর ছোট ছাহেবজাদার জানাজা সম্পন্ন

দুখানা চিঠি। দুখানা চিঠি ভুতের গল্প | ভুতের গল্প | Dukhana Cithi Vuter Golpo |

দৈনিক যমুনা সংবাদ
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৮২ বার পঠিত

দুখানা চিঠি। দুখানা চিঠি ভুতের গল্প | ভুতের গল্প | Dukhana Cithi Vuter Golpo | 

দুখানা চিঠিঃ টম সাহেবের বাড়ি।

প্রকান্ড অট্টালিকা। একতলাদোতলাতেতলাকত যে কামরা তাহা বলিতে পারি না। দেখিতে দেখিতে আমরা বৃহৎ একখানি ঘরে গিয়া উপস্থিত হইলাম  মেঝেতে নিবিড় ধূলা পড়িয়াছিল। কোথাও কিছু নাইহঠাৎ দেখিলাম আমার ঠিক সম্মুখে একটি পায়ের দাগ পড়িল। শিশুর পদচিহ্ন। তাহার আগেকি আশেপাশে আর দাগ নাই। কেবল সেই একটি দাগ মাত্র। অগ্রসর হইয়া সেই পদচিহ্নের উপর আমার নিজের পা রাখিলাম 

অমনি ঠিক সেই সময় আমার সম্মুখে আর একটি পায়ের দাগ পড়িল। আমি আমার সঙ্গী ভৃত্যের গা টিপিলাম। সেও আমার গা টিপিল। এইরূপে যতই যাইআগে ধূলার উপর ততই একটি শিশুর পদচিহ্ন অঙ্কিত হইতে থাকে। কেবল এক পায়ের চিহ্ন ; দুই পায়ের দাগ পড়ে না। যখন ঘরের অপর প্রান্তে প্রাচীরের নিকট গিয়া উপস্থিত হইলাম তখন আর দাগ পড়িল না।

 

নির্দিষ্ট হইয়াছিল। কিন্তু তখনও নিদ্রা যাইবার সময় হয় নাই। সুতরাং এই তলায় অন্যান্য ঘর পরিদর্শন করিতে লাগিলাম। একটি ক্ষুদ্র কামরার নিকট গিয়া উপস্থিত হইয়া আমার সঙ্গী ভৃত্য বলিল –  কি হইল ঘরের দরজা বন্ধ কেনআমি এইমাত্র চাবি খুলিয়া কপাট উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছি।

বিস্ময়ে দ্বারের দিকে চাহিয়া আছি এমন সময়ে কি আশ্চর্যদ্বার আস্তে আস্তে আপনি খুলিয়া গেল। আমরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম। এক প্রকার অমানুষিক গন্ধে ঘর ক্রমে পরিপুরিত হইতে লাগিল। এক প্রকার ভৌতিক ত্রাসে হৃদয় অবসন্ন হইতে লাগিল। আশঙ্কা যে কি তাহা বর্ণনা করিতে পারি না। নব জীবনের প্রতিকূল কোন একটা ভীষণ পদার্থ যেন সেই ঘরে আছেএইরূপ আমাদের মনে হইল। সর্বনাশ। সহসা ঘরের দ্বার বন্ধ হইয়া গেল।

Dukhana Cithi Vuter Golpo:

সে ঘরে আর অপর দ্বার কি জানালা ছিল না। প্রথমে দুইজনে দ্বার টানাটানি করিয়া দেখিলামকিছুতেই খুলিতে পারিলাম না। আমার সঙ্গী বলিলঅতি পাতলা তক্তা দিয়া কপাট জোড়াটি গঠিত। দুই লাথিতে ভাঙিয়া ফেলিব। দেখি ভূতে কি করিয়া রক্ষা করে 

দুই লাথি নয়হাজার লাথিতেও সে কপাট ভাঙিল না। আমি অনেক চেষ্টা করিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে ভঙ্গপ্রবণ কপাট ভাঙিতে পারিলাম না। শান্ত হইয়া আমরা নিবৃত্ত হইলাম। তখন খলখল করিয়া বিকট হাসির শব্দ হইল। দ্বারটি আস্তে আস্তে আপনি খুলিয়া গেল। সেই ভয়াবহ ঘর হইতে ভাড়াতাড়ি বাহির হইলাম।

সেই ঘর হইতে বাহির হইয়া আমরা বারান্দায় দাঁড়াইলাম। এক পার্শ্বে মিটমিট করিয়া কেমন একটি নীলবর্ণের অলৌকিক আলো জ্বলিতেছিল। কি আলোকোথায় যাইতেছে দেখিবার নিমিত্ত আমরা তাহার পশ্চাদগামী হইলাম। সিঁড়ি দিয়া আমাদের আগে আগে আলোটি তেতলায় উঠিতে লাগিল। তেতলার উপরে উঠিয়া একটি সাধারণ শয়নাগারে প্রবেশ করিলাম। যে বৃদ্ধা এই বাড়িতে একাকী বসবাস করিতএই ঘরটি তাহার ছিলআমরা এইরূপ অনুমান করিলাম। ঘরের ভিতর একটি দেরাজ ছিল। খুলিয়া দেখিলামতাহার ভিতর একখানি রেশমের রুমাল  দুইখানি চিঠি রহিয়াছে। দ্বিতলে আসিবার নিমিত্ত সিঁড়ি দিয়া নামিতে লাগিলাম 

মনে হইলআমার পাশে পাশে চিঠি দুইখানি কাড়িয়া লইবার নিমিত্ত কে যেন বারবার চেষ্টা করিতেছে। দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ করিয়া আমি তাহার সে চেষ্টা বিফল

দুখানা চিঠি ভুতের গল্প:

 

করিলাম। আমার শয়নঘরে উপস্থিত হইয়া প্রথমে ঘড়ি  পিস্তল টেবিলের উপর রাখিলাম। নিকটস্থ ছোট একটি ঘরে ভৃত্যকে শুইতে বলিলাম। মাঝের দ্বার খোলা। যে পত্র দুইখানি উপর হইতে আনিয়াছিলামএক্ষণে তাহা পড়িতে লাগিলাম 

পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে চিঠি দুইখানি কোন একটি পুরুষ তাহার প্রিয়জনকে লিখিয়াছিলকিন্তু নাম ধাম কাহারও ছিল না। তাহাতে কোন একটি বিভীষিকার আভাস ছিল। কে যেন কাহাকে খুন করিয়াছেএই ভাবের কথা। পত্র দুইখানি পাঠ করিয়া আমি চৌকির উপর বসিলাম। ঘরে দুইটি বড় বড় বাতি জ্বলিতেছিল। শীত প্রধান দেশ। ঘরের আগুন জ্বালিবার জায়গায় দাউদাউ করিয়া আগুন জ্বলিতেছিল। সহসা টেবিলের উপর হইতে আমার ঘড়িটি শূণ্য পথে চলিয়া যাইতে লাগিল। হাতে পিস্তল লইয়া তাড়াতাড়ি আমি ধরিতে দৌঁড়াইলাম। কিন্তু সোঁৎ করিয়া ঘড়ি যে কোথায় অদৃশ্য হইয়া গেলআর আমি দেখিতে পাইলাম না।

Vuter Golpo

ভৃত্য এই সময় সহসা তাহার ঘর হইতে দৌড়িয়া আসিল। চক্ষু রক্তবর্ণযেন কোটর হইতে বাহির হইয়া পড়িতেছে। তাহার সর্বশরীর রোমাঞ্চ হইয়াছেমাথার চুলগুলি সব খাড়া হইয়া উঠিয়াছে। বলিল মহাশয়পলায়ন করুনপলায়ন করুন। এই স্থানে আর তিলার্ধকাল থাকিলে মারা পড়িবেন। বাপরেধরিল রেএইরূপ চিৎকার করিতে করিতে সে আমার ঘর হইতে বাহির হইয়া তড়তড় করিয়া সিঁড়ি দিয়া নামিতে লাগিল 

তাহাকে ফিরাইবার নিমিত্ত আমি পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌড়াইলাম। কিন্তু ধরিতে না ধরিতে সে দরজা খুলিয়া উর্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। সেই ভয়াবহ শ্মশান সদৃশ অট্টালিকার ভিতর আমি এখন একা পড়িলাম। প্রাণে আমার অতিশয় ত্রাস হইল। একবার মনে ভাবিলামআমিও পলায়ন করি। কিন্তু বন্ধুবান্ধব সকলে হাসিবে  বিদ্রুপ করিবে। যা থাকে কপালেএই মনে করিয়া পুনরায় আমি উপরে উঠিলাম।

আমার সম্মুখে তাল গাছ প্রমাণ কৃষ্ণবর্ণ একটি মানুষের আকৃতি দাঁড়াইল। তাহার মস্তক ছাদে ঠেকিল। সেই মস্তকে চক্ষু দুইটি জ্বলিতে লাগিল। সর্বশরীর আমার শিহরিয়া উঠিল। পিস্তলটি হাত হইতে পড়িয়া গিয়াছিল। আমি তাহা লইবার নিমিত্ত হাত বাড়াইলাম। অসাড়  অবশ হাত উঠিল না। আমি দাঁড়াইবার চেষ্টা করিলাম। পা অসাড়  অবশ। পা উঠিল না। চিৎকার করিতে চেষ্টা করিলাম। মুখ দিয়া কথা বাহির হইল না। জ্ঞান হত হইবার উপক্রম হইল।

 

 

কিন্তু তখনও একটা চিন্তাশক্তি আমার মনে ছিল। ভাবিলাম যদি ভয় করিতাহা হইলে নিশ্চয় আমি প্রাণ হারাইব। এইরূপ মনে করিয়া অনেক চেষ্টা করিয়া ধৈর্য ধরিয়া রহিলাম। বাতি নিবিল নাঅগ্নিস্থানে অগ্নি নির্বাণ হইল না। তথাপি ঘর অন্ধকারে আবৃত হইয়া গেল। আমি ভাবিলামযেমন করিয়া হউকঘরে | আলো রাখিতে হইবে। অন্ধকারে থাকিলে মারা পড়িব 

পুনরায় উঠিতে চেষ্টা করিলাম। এবার উঠিতে পারিলাম। আস্তে আস্তে গিয়া একটা জানালা খুলিয়া দিলাম।

জ্যোৎস্না রাত্রি ছিল। অল্প অল্প চাঁদের আলো ঘরে প্রবেশ করিল। সেই আলোকে দেখিলাম যে তালবৃক্ষ প্রমাণ কৃষ্ণবর্ণের বিকট মূর্তি তখন সম্পূর্ণভাবে ঘরে নাইকেবল তাহার ছায়াটি এক পার্শ্বে দন্ডায়মান রহিয়াছে। পুনরায় গিয়া চৌকিতে বসিলাম। পীতহরিৎলোহিত – নানা বর্ণের গোলাকার আলোক এক্ষণে ঘরের চারিদিকে ঘুরিয়া  গড়াইয়া বেড়াইতে লাগিল। তাহার পর ভূমিকম্প হইলে যেমন হয়ঘর সেইরূপ দুলিতে লাগিল। যে চৌকির উপর চিঠি দুইখানি রাখিয়াছিলাম তাহার নীচে হইতে ঠিক জীবন্ত মানুষের রক্তমাংসের হাতের ন্যায় একখানি স্ত্রীলোকের হাত বাহির হইল। তাড়াতাড়ি আমি সেই হাতখানি ধরিতে গেলাম। খপ করিয়া চিঠি দুইখানি লইয়া নিমেষের মধ্যে হাতখানি অদৃশ্য হইয়া গেল।

মাঝে মাঝে গলা টিপিয়া আমাকে মারিয়া ফেলিবার জন্য কে যেন চেষ্টা করিতে লাগিল। আমার ঘাড় ভাঙিয়া দিবার জন্য মাঝে মাঝে হাতও আসিতে লাগিল। সাহসে ভর করিয়া আমি বরাবর সেই ভৌতিক হাত ঝাড়িয়া ফেলিতে লাগিলাম। সে রাত্রিতে আমি যে কি করিয়া প্রাণে বাঁচিলামতাহাই আশ্চর্য!

 

আজকে এই পর্যন্ত

আরো গল্প পরতে আমাদের এই ওয়েব সাইট বিজিট করুন

আর ভালো লাগেলে শেয়ার করুন 

ধন্যবাত

tage:  vuter golpo,
vuter golpo bangla,
vuter golpo bangla 2024,
sotti vuter golpo bangla,
bangla urter golpo,
bangla bhuter golpo online reading,
dukhana chithi,
dukhana cithi vuter golpo,
ভুতের গল্প ,
দুখানা চিঠি,
দুখানা চিঠি ভুতের গল্প,

এ জাতীয় আরও খবর