নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীগণের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন ৩ এর উদয়ন কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত উন্নয়ন- অগ্রগতি এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অংশীজনকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও তার অনুসরণে প্রণীত নীতিমালাসমূহ অনুসরণ করা হয়। আইনের শাসন ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে অংশীজনের নিকট পৌঁছে দিতে হবে। শিক্ষার, শিক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন ব্যতিরেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভবপর হয় না। সে কথা বিবেচনা করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে সেমিস্টার পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। আউটকাম বেইজড পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চার মেলবন্ধন ঘটাতে সচেষ্ট। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীরা সম্প্রতি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর জাতীয় অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিয়েছে, উদবোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন। পাশাপাশি তারা জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা মঞ্চস্থ করে সুধীমণ্ডলীর প্রশংসা অর্জন করেছে। সম্প্রতি ২০২২-২০২৩, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীরা যাতে পরিবর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন জ্ঞান শাখার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে তার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে, তিনটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করে।
সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বিকেল ৪ টায় অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক আরেকটি অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় উপাচার্য প্রফেসর আজম বলেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ভিন্ন উন্নয়ন অর্থবহ হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা কর্মরত আছেন তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক আইন দ্বারা নির্ধারিত। কাজেই আইন ও বিধানকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, সে মোতাবেক আমাদের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে হবে। সকলের জন্য সুযোগের সমতা বিধান করতে ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।