1. admin@dailyjamunasongbad.com : admin :
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত - দৈনিক যমুনা সংবাদ
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শাহজাদপুরে ৪ নারী পেলেন বেগম রোকেয়া জয়ীতা সম্মাননা পদক ২০২৪ শাহজাদপুরে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরের নন্দলালপুর রাখ জলা মহল ইজারার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শাহজাদপুরে পোরজনায় সরকারি রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন শাহজাদপুরে ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ায় শিক্ষককে শোকজ শাহজাদপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে পোরজনায় সাম্য,মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত শাহজাদপুরে রংধনু মডেল স্কুলের পক্ষ থেকে প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হাসান,সাধারণ সম্পাদক ইন্না খাজা এনায়েতপুরী (রহঃ) এর ছোট ছাহেবজাদার জানাজা সম্পন্ন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

দৈনিক যমুনা সংবাদ
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৭৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। ১৭ মার্চ সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড মোঃ শাহ আজম । এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম,চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন,বাংলাদেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনছে তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে, আত্ম-অধিকার ও মুক্তিসংগ্রামের বিশ্ব-ইতিহাস পাঠের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের নানা প্রান্তে তরুণরা আগ্রহী হয়ে উঠছে মানুষটিকে গভীরভাবে জানতে। যাঁর হাত ধরে সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল;ঔপনিবেশিক নিপীড়ন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে বাংলার মানুষকে যিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে মুক্ত করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য,১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে আমরা তাঁকে হারায়। দেশি-বিদেশি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার কেবল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গই হয়েছেন তা নয়, অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। লজ্জায় মাথা নত হয় প্রতিটি বাঙালির। বঙ্গবন্ধু চির অমর, বঙ্গবন্ধু আজও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দ্রোহের প্রতীক। তিনি শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তির অনুপ্রেরণা নন, বিশ্বের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সহযোদ্ধা।

রবি উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন একটি শিশুকে যদি স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া যায়–যদি তাকে শিল্পে, সাহিত্যে, সংগীতে আকৃষ্ট করে, তার প্রতিভার স্ফুরণ ঘটানোর সুযোগ দিলে সে তার শিল্পচর্চার মাধ্যমে আনন্দের সাথে দেশপ্রেম শিখবে, মাটি এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখবে। এর মাধ্যমে শিশুর মধ্যে যে সক্ষমতা তৈরি হবে তাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সে জন্যই তিনি শিশু সংগঠনগুলোকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি ‘কচি-কাঁচার মেলা’ এবং ‘খেলাঘর’র প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন,বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সনে শিশু অধিকার আইন প্রণয়ন করেন, জাতিসংঘ তার পনেরো বছর পর শিশু অধিকার বিষয়ে তার অঙ্গীকার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু যে চিন্তা-ভাবনায় কতো অগ্রসর ছিলেন,এ থেকে আমরা তার প্রমাণ পাই। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘শিশুদিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন, যাতে করে শিশুদের প্রতি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দেই। তিনি পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্যে ২০১৩ সালে নতুন করে শিশু আইন প্রবর্তন করেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিংবা যে সমস্ত শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে, যে সমস্ত শিশুরা স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ছে তাদের তিনি প্রণোদনা দিয়ে স্কুলগামী করেছেন। প্রতিবছর শিশুরা বছরের প্রথমদিন পাঠ্যপুস্তক পায় বিনামূল্যে। এ কত বড় অর্জন! শিশুদেরকে প্রনোদনা দেবার জন্যে স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে। তারা স্কুলে আনন্দের সঙ্গে পড়ালেখা করছে। তিনি বলেন, পিতা যা শুরু করেছিলেন কিংবা যা প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁর কন্যা সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। এ যেন পরম্পরা। এখানেই শেষ নয়, পরম্পরাক্রমে অনাগত ভবিষ্যতেও এই কাজটি হতে থাকবেই বলে অনুমান করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার দায়িত্বটি গ্রহণ করেছেন। তার মানে বঙ্গবন্ধু, তাঁর কন্যা, কন্যার কন্যা সকলেই শিশুর প্রতি গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার অপর সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা, সজীব ওয়াজেদ জয়ও গ্রামে-গঞ্জে শেখ রাসেল পাঠাগার, শেখ রাসেল আই.টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের বিকাশের জন্য। তিনিও শিশু অধিকারের বিষয়টি মাথায় নিয়েছেন।
সকলে নিজের অবস্থানে থেকে সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করলে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এদিনটিকে আমরা বিশেষভাবে স্মরণ করি মূলত সেই শপথে নিজেদের উজ্জীবিত হবার প্রেরণা হিসেবে গ্রহণের জন্য।

এ জাতীয় আরও খবর