শাহজাদপুরে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজ
- স্টাফ রিপোর্টার : শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের হারুন- অর -রশীদ খান (৩৬) নামের এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নিহত হারুন -অর-রশীদ উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের গাজী মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ মে শুক্রবার রাতে। এ ঘটনায় পরদিন শনিবার বিকেলে নিহতের পিতা গাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের শ্বশুর ফখরুল মোল্লাকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামীপক্ষের অব্যাহত ভয়ভীতি ও হুমকীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদীপক্ষ।
২৮ মে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে পোরজনা ইউনিয়নের বড়মহারাজপুর গ্রামের ফখরুল মোল্লার মেয়ে রেখা বেগম শাপলার সাথে স্কুল শিক্ষক হারুন – অর- রশীদ খানের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্ত্রী রেখা বেগমের বেপরোয়া চলাফেরা ও উশৃংখল জীবন যাপনের কারনে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল । বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিক শালিশ বৈঠক হলেও কলহের মিমাংসা হয়নি। একপর্যায়ে প্রায় ৫ মাস আগে রেখা বেগম তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। অনেক চেষ্টার পরও সে ফিরে না এলে প্রায় আড়াই মাস পূর্বে স্কুল শিক্ষক তার স্ত্রী রেখা বেগমকে তালাক দেন। এব্যাপারে রেখা বেগম স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ মে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে শিক্ষক হারুন -অর-রশীদ ঔষধ কিনতে বাড়ি থেকে পোরজনা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা ও চাচা শ্বশুর মুকুল মোল্লার নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা লাঠিসোঁটা সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে শিক্ষক হারুন- অর- রশীদকে তুলে নিয়ে যায় এবং পোরজনা এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নির্জন স্থানে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতম জখম করে। খবর পেয়ে রাত ৯ টার দিকে তার স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় শিক্ষক হারুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। একপর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।